বর্তমানে সবচেয়ে চাহিদা সম্পন্ন ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ সম্পর্কে জানতে চান? ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটে বিভিন্ন প্রকার কাজ থাকলেও সব কাজের চাহিদা ও কাজের মূল্য এক নয়। তাই, নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং পেশায় প্রবেশ করার শুরুতে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ এর মাঝে ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি তা জেনে নিজের পছন্দের কাজ বাছাই করে নেওয়া জরুরি।
“ফ্রিল্যান্সিং” বর্তমান যুগে বহুল পরিচিত এবং আলোচিত একটি বিষয়। প্রযুক্তি উন্নত হওয়ার সাথে সাথে ফ্রিল্যান্সিং পেশাটিও জনপ্রিয় হয়ে উঠছে, সেইসাথে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ বাড়ছে, নিত্য নতুন কাজ অনলাইনে আসছে। কোন রকম পার্মানেন্ট কর্মী না রেখেও ফ্রিল্যান্সাদের দিয়ে কাজ করিয়ে নিয়ে আউটসোর্সাররা সেরা কাজ পাচ্ছে। ফ্রিল্যান্সাররা এসব ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ পেয়ে ঘরে বসে কাজ করতে পারছে। তাই, বিগত দশকে অনেক মানুষ ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহের সাথে জড়িত হয়েছে।
কিন্তু, বর্তমান মার্কেটে প্রচুর ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ থাকার পাশাপাশি এমন অনেক কাজও আছে যেগুলোর চাহিদা তেমন নেই, আবার এমন জব অপশনও আছে যেগুলো পরবর্তীতে হয়তো থাকবে না। কিন্তু, ফ্রিল্যান্সিংকে ক্যারিয়ার হিসেবে নিতে চাইলে আমাদের ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ থেকে সেরা কাজ বাছাই করে স্কিল ডেভেলপ করা উচিৎ। যেন ভবিষ্যতে কাজ পেতে আপনাকে বেগ পেতে না হয়।
তাই, আর্টিকেলটিতে আমরা ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ থেকে সবচেয়ে জনপ্রিয় ১৫টি ফ্রিল্যান্সিং কাজ বাছাই করে আলোচনা করবো যার চাহিদা আগামী কয়েক দশক থাকবে বলে আশা করা যাচ্ছে। পাশাপাশি এই সেরা ১৫ টি ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ আপনাকে অন্যান্য কাজের চেয়ে বেশি অর্থ দিবে ইন-শা-আল্লাহ।
Table of Contents
ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ | 15 Best Freelancing Skills
বাছাইকৃত সহজ ও সেরা ১৫ টি ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ:
- গ্রাফিক্স ডিজাইন (Graphic design)
- ভিডিও এডিটিং (Video editing)
- ওয়েবসাইট ডিজাইন (Website design)
- ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট (Website development)
- অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট (Application development)
- কনটেন্ট রাইটিং (Content writing)
- কপিরাইটিং (Copy writing)
- সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (Search engine optimization -SEO)
- ডাটা এন্ট্রি (Data entry)
- ডিজিটাল মার্কেটিং (Digital marketing)
- ট্রান্সক্রাইবিং (Transcribing)
- ট্রান্সলেটিং (Translating)
- ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট (Virtual assistant)
- ডাটা এনালাইসিস (Data analysis)
- ইউএক্স / ইউ আই ডিজাইনার (UI /UX Designer)
১) ফ্রিল্যান্স গ্রাফিক ডিজাইনিং | Freelance Graphic designing
গ্রাফিক ডিজাইন সৃজনশীল ডিজাইন ভিত্তিক কাজ। গ্রাফিক ডিজাইন ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ তালিকার অন্যতম চাহিদা সম্পন্ন এবং হাই পেইড জব।
গ্রাফিক ডিজাইন এমন একটি শিল্প যেখানে পেশাদাররা যোগাযোগের জন্য ভিজ্যুয়াল কন্টেন্ট তৈরি করে। গ্রাফিক ডিজাইনাররা গ্রাহক এবং ব্যবহারকারীদের নির্দিষ্ট চাহিদা মেটাতে টাইপোগ্রাফি এবং ছবি ব্যবহার করে ইন্টারেক্টিভ ডিজাইন তৈরির মাধ্যমে নির্দিষ্ট বার্তা প্রেরণ করে।
গ্রাফিক্স ডিজাইনে অন্তর্ভুক্ত ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ হলো:
- লোগো ডিজাইন (Logo design)
- ফন্ট ডিজাইন (Font design)
- টাইপোগ্রাফি (Typography)
- বিজনেস কার্ড ডিজাইন (Business card design)
- স্টেশনারি ডিজাইন (Stationary design)
- ওয়েবসাইট ডিজাইন (Website design)
- অ্যাপ ডিজাইন (Application design /App design)
- আইকন ডিজাইন (Icon design)
- প্যাটার্ন ডিজাইন (Pattern design)
- কার্টুন এন্ড কমিক ডিজাইন (Cartoon and comic design)
- সোশাল মিডিয়া ডিজাইন (Social media design)
- ওয়েব ব্যানার ডিজাইন (Web banner design)
- গেম আর্ট (Game art)
- ইমেজ এডিটিং (Image editing)
- প্রেজেন্টেশন ডিজাইন (Presentation design)
- ইনফোগ্রাফিক ডিজাইন (Info-graphic design)
- ভেক্টর ট্রেসিং (Vector tracing)
- রিজিউমি ডিজাইন (Resume design)
- ফ্লায়ার ডিজাইন (Flyer design)
- পোস্টার ডিজাইন (Poster design)
- ব্রোশিওয়র ডিজাইন (Brochure design)
- পোস্টার ডিজাইন (Poster design)
- ক্যাটালগ ডিজাইন (Catalog design)
- মেনু ডিজাইন (Menu design)
- ইনভাইটেশন ডিজাইন (Invitation design)
- প্যাকেজিং এবং লেবেল ডিজাইন (Packaging and label design)
- বুক ডিজাইন (Book design)
- ফ্যাশন ডিজাইন (Fashion design)
- টি-শার্ট ডিজাইন ( T shirt Design)
- জুয়েলারি ডিজাইন (Jewellery design), ইত্যাদি।
গ্রাফিক্স ডিজাইনের জন্য ব্যবহৃত কিছু সফটওয়্যার সমূহ:
১) এডোবি ইলাস্ট্রেটর | Adobe Illustrator
এটি মূলত ডিজাইন বেসড একটি সফটওয়্যার। সব ধরনের ডিজাইন এই সফটওয়্যার দিয়ে করা যায়। পেজ লেআউট, ভেক্টর, টাইপোগ্রাফি, পোস্টার, ব্যানার, সোশাল মিডিয়া কভার, লোগো ইত্যাদি ডিজাইনসমূহ এডোবি ইলাস্ট্রেটরের মাধ্যমে করতে পারবেন। এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে গানিতিক বিভিন্ন সমীকরনের সাহায্যে উন্নত মানের ডিজাইন করা যায়।
২) এডোবি ফটোশপ | Adobe Photoshop
এটি বেশিরভাগ স্টিল ফটো ডিজাইনার এর কাছে প্রিয় এডিটিং সফটওয়্যার। সব ধরনের ইমেজ এডিটিং (Image editing) , ইমেজ রিটাচিং (Image retouching) সহ ইমেজ ম্যানিপুলেশনের (Image manipulation) কাজ এই সফটওয়্যার দিয়ে করতে পারবেন। থ্রি-ডি এনিমেশন এর মত কাজগুলোও এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে করা যায়।
৩) এডোবি ইন ডিজাইন | Adobe In design
ইন ডিজাইনের মাধ্যমে আপনি দ্রুত আউটপুট পাবেন। ফটোশপের চেয়ে ইন ডিজাইনে কাজ করা তুলনামূলক সহজ। স্পেশালি প্রেস বা প্রকাশনার কাজে ইন ডিজাইন সবচেয়ে বেশি কার্যকর।
এই ডিজাইন সফটওয়্যারের মাধ্যমে আপনি খুব সহজে এবং দ্রুত পত্রিকা, ম্যাগাজিন, ব্রোশিওর ডিজাইন করতে পারবেন।
৪) কোরেলড্র | CorelDraw
কোরেলড্র সফটওয়্যারটির মাধ্যমে বিভিন্ন চিত্র, লোগোসহ মার্কেটিং বিষয়ক গ্রাফিক ডিজাইন তৈরি করতে পারবেন। ভেক্টর-ভিত্তিক গ্রাফিক্স তৈরি করার ক্ষেত্রে কোরেলড্র একটি দারুন সফটওয়্যার।
এছাড়াও গ্রাফিক্স ডিজাইনের জন্য আরো কিছু সফটওয়্যার রয়েছে –
- ইঙ্কস্কেপ ( Inkscap)
- এডোবি লাইটরুম (Adobe Lightroom)
তবে আপনি যদি গ্রাফিক্সের দুনিয়ায় নতুন হয়ে থাকেন তাহলে এডবি ইলাস্ট্রেটর দিয়ে কাজ শুরু করুন, এটি আপনার গ্রাফিক ডিজাইনার হওয়ার পথকে সহজ করে তুলবে।
২) ফ্রিল্যান্স ভিডিও এডিটিং জব | Video editing
ওপেন প্লাটফর্মের কারণে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ তালিকার উপরের দিকে উঠে এসেছে ফ্রিল্যান্স ভিডিও এডিটিং। ভিডিও কাট, ট্রিমিং করে ক্লিপগুলোকে সিকোয়েন্স অনুযায়ী সাজানোসহ একটি ক্লিপগুলোকে পরিপূর্ণ একটি ভিডিওতে রূপান্তর করাকে মূলত ভিডিও এডিটিং বলে।
পাশাপাশি অ্যানিমেশন (Animation), মোশন গ্রাফিক্স (Motion graphics), ভিজুয়াল ইফেক্ট (Visual effect) ও ভিডিও এডিটিং এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত।
ভিডিও রেকর্ডের পরই মূলত ভিডিও এডিটরের কাজ শুরু হয়। ভিডিওর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ মিউজিক, সাউন্ড ইফেক্ট যোগ করে ভিডিওটাকে পরিপূর্ণ করাই একজন ভিডিও এডিটর এর কাজ।
ভিডিও এডিটিং এর অন্তর্ভুক্ত ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ:
- ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট (Visual effect)
- ইন্ট্রো এন্ড আউটট্রো ভিডিওস (Intro and outro videos)
- ভিডিও টেম্পলেট এডিটিং (Video template editing)
- সাবটাইটেল এন্ড ক্যাপশন (Subtitle and caption)
- ক্যারেক্টর এনিমেশন (Character animation)
- এনিমেটেড এক্সপ্লেইনারস (Animated Explainers)
- লোগো এনিমেশন (Logo Animation)
- এনিমেটেড গিফস (Animated GIFs)
- এনিমেশন ফর স্ট্রিমার্স (Animation for Streamers)
- এনিমেশন ফর কিডস (Animation for Kids)
- ভিডিও এডস্ & কমার্শিয়ালস (Video Ads & Commercials)
- সোসাল মিডিয়া ভিডিওস (Social media Videos)
- স্পোকসপার্সন ভিডিওস (Spokesperson Videos)
- মিউজিক ভিডিওস (Music Videos)
- স্লাইডশো ভিডিওস (Slideshow Videos)
- কর্পোরেট ভিডিওস (Corporate Videos)
- মেডিটেশন ভিডিওস (Meditation Videos)
- রিয়াল স্টেট প্রোমোস (Real Estate Promos)
ভিডিও এডিটিং এ ব্যবহৃত সফটওয়ার (কম্পিউটারের জন্য):
- এডোবি আফটার ইফেক্টস (Adobe after effects)
- এডোবি প্রিমিয়ার প্রো (Adobe premiere pro)
- ভি এফ এক্স (VFX)
- লাইট ওয়ার্কস ভিডিও এডিটর (Light works video editor)
- হিট ফিল্ম এক্সপ্রেস (Hit film express)
আপনি চাইলে মোবাইল দিয়েও ভিডিও এডিট করতে পারবেন, তবে উন্নত কোয়ালিটি এবং ভালো রেজাল্ট পেতে হলে আপনাকে কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ব্যবহার করে সফটওয়্যারের মাধ্যমে ভিডিও এডিট করতে হবে।
মোবাইল ভিডিও এডিটিং অ্যাপসের নাম:
- এডোবি প্রিমিয়ার ক্লিপ (Adobe premiere clip)
- পাওয়ার ডিরেক্টর (PowerDirecto)
- ভিভা ভিডিও (VivaVideo)
- কাইনমাস্টার (Kinemaster)
- ইনশট ( Inshot)
৩) ফ্রিল্যান্স ওয়েবসাইট ডিজাইন | Website Design
বর্তমানে অনলাইনের যুগে প্রতিটা কোম্পানিরই এখন একটা করে ওয়েবসাইট থাকে। তাই, ওয়েবসাইট ডিজাইনের গুরুত্বটা দিন দিন বেড়েই চলেছে। ওয়েবসাইটের কোথায় কি থাকবে, কিভাবে অর্ডার করা যাবে, কোন ধরনের ফন্ট হবে, মেনুবার, হোমপেজ লে-আউট ইত্যাদি ডিজাইন করাকেই মূলত ওয়েবসাইট ডিজাইন বলে।
যদিও বর্তমানে ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এর জন্য আলাদা কাউকে হায়ার করার প্রবণতা কমে গেছে, কেননা ওয়েব ডেভেলপাররাই ওয়েব ডিজাইনের কাজটাও করে দিচ্ছেন।
কিন্তু, বড় বড় কোম্পানি এখনো স্পেশালিস্ট ডিজাইনার হায়ার করেন। তাই, ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ থেকে ওয়েবসাইট ডিজাইন বাছাই করে অধিক পারিশ্রমিক পেতে পারেন।
৪) ফ্রিল্যান্স ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট | Freelance Web Development
বর্তমানে অফলাইনের পাশাপাশি আমাদের দেশেও অনলাইনে কেনাকাটা থেকে শুরু করে বাংলা ব্লগ এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া অনলাইন কোর্স ও সার্ভিস দেওয়ার জন্যও ওয়েবসাইট প্রয়োজন হয়। আমাদের দেশের বাইরে উন্নত দেশে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর চাহিদা আরো অনেক বেশি।
তাছাড়া, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট করার পরেও তা মেইনটিনান্স এর জন্য ওয়েব ডেভেলপার হায়ার করতে হয়। তাই, বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ থেকে সেরা এবং সবচেয়ে চাহিদা সম্পন্ন কাজ ওয়েব ডেভেলপমেন্ট।
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর দুটি ধাপ:
- ফ্রন্ট এন্ড ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
- ব্যাক এন্ড ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখতে হলে বেসিক যা জানা দরকার –
- HTML
- CSS
- JavaScript
- JQuery
- Bootstrap
- Python or Ruby
ওয়েবসাইট ডিজাইন শিখতে হলে শুরুতেই যেসব বেসিক কিছু কাজ শিখতে হয়:
১) এইচ টি এম এল (HTML)
HTML বা Hypertext markup language. এটি মূলত প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ। এটি ওয়েবসাইট ডিজাইনের বেসিক ল্যাংগুয়েজ। এইচ টি এম এল এর সাহায্যে আপনি খুবই সাধারণ একটি ওয়েবপেজ তৈরি করতে পারবেন।
২) সি এস এস (CSS)
HTML এর মাধ্যমে আপনি সাধারণ একটি কাঠামো তৈরি করতে পারবেন। কিন্তু ফন্ট কালার, সাইজ, ইমেজ এড সহ ইত্যাদি ডিজাইন এড করতে হলে CSS এর প্রয়োজন হবে। CSS আপনার ওয়েবসাইটকে আরো আকর্ষণীয় এবং সুন্দর করে তুলবে।
৩) জাভাস্ক্রিপ্ট (Java Script):
ওয়েবসাইটকে ক্লায়েন্ট ব্রাউজারে সঠিকভাবে ওয়েবসাইটক শো করাতে জাভাস্ক্রিপ্ট জানা জরুরি।
এছাড়াও, বর্তমানে ওয়ার্ডপ্রেস (WordPress) দিয়ে প্রচুর ওয়েবসাইট তৈরি হওয়ায় ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপারদের চাহিদাও বাড়ছে।
ওয়েব ডেভেলপমেন্টের প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার:
- এডোবি ড্রিম ওয়েবার (Adobe Dreamweaver)
- রেপিড ওয়েবার ( RapidWeaver)
- ওপেন এলিমেন্ট ( openElement)
- এটম (Atom)
- সাবলাইম টেক্সট (Sublime Text)
- ওয়ার্ডপ্রেস (WordPress)
- উইক্স (Wix)
- গোস্ট (Ghost)
ই কমার্স সাইটের জন্য প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার:
- স্কয়ারস্পেস (SquareSpace)
- শপিফাই (Shopify)
- উইবলি (Weebly)
- ওয়ার্ডপ্রেস (WordPress)
ওয়েবসাইট তৈরি করেই যে ওয়েবসাইটের কাজ শেষ এমন কিন্তু না, এই ওয়েবসাইটি রক্ষনাবেক্ষন, দেখাশোনা করা, কোনো কিছু পরিবর্তন করা ইত্যাদি হলো ওয়েব ডেভেলপমেন্টের কাজ। সুতরাং, ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ তালিকার খুব শক্ত অবস্থানে আছে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এবং ওয়েব ডেভেলপার।
৫) অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট | Application development
মোবাইল, কম্পিউটারে আমরা প্রতিনিয়ত কিছু অ্যাপ্লিকেশন (Application/App) ব্যবহার করে থাকি। এসব অ্যাপ তৈরি করা থেকে শুরু করে রক্ষনা-বেক্ষন এর যাবতীয় সব কাজ অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্টের আওতায় পরে।
বর্তমানে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের কাছে ব্রাউজারের চেয়ে অ্যাপ প্রাধান্য পাওয়ায় অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপারদের চাহিদা প্রচুর। তাই, Best Skills for Freelancing সমূহের মাঝে অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট এর অবস্থান উপরের দিকেই থাকছে।
বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট করতে হয় যেমন;
- ডেস্কটপ অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট (Desktop application development)
- ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট (Web application development)
- মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট (Mobile application development)
- অ্যাপ্লিকেশন মেইন্টেনেন্স এবং সাপোর্ট (Application maintenance and support)
অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট সফটওয়্যার সমূহ:
- Quixy
- Zoho Creator
- Microsoft Power Apps
- AppyPie
- AppSheet
- Bizness Apps
- Appery.io
- iBuildApp
- Shoutem
- Rollbar
- JIRA
- AppInstitute
- GoodBarber
- Caspio
৬) কন্টেন্ট রাইটিং | Content Writing
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সহজ কাজ সমূহ এর মাঝে অন্যতম অথচ রয়েল জব কন্টেন্ট রাইটিং। কন্টেন্ট রাইটিং বলতে মূলত কোনো বিষয়ের উপর বিস্তারিত লেখাকে বুঝায় যাতে ওই বিষয় সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ জ্ঞান থাকবে। অনলাইনে কন্টেন্ট রাইটিং করতে হলে বেশ কয়েকটি দিক বিবেচনায় রাখা জরুরি।
কোন টপিক ট্রেন্ডে আছে, পাঠক কোন ধরনের টপিক সম্পর্কে জানতে চায় ইত্যাদি বিষয় মাথায় রেখে রিসোর্চফুল কন্টেন্ট লিখতে হয়। অনলাইনে কন্টেন্ট লেখার ক্ষেত্রে কী ওয়ার্ড, এসইও (SEO) খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বিভিন্ন প্রকারের কন্টেন্ট রাইটিং রয়েছে:
- ব্লগ আর্টিকেল (Blog Article)
- কপিরাইটিং (Copy writing)
- সোশ্যাল মিডিয়া রাইটিং (Social media writing)
- ইমেইল মার্কেটিং কন্টেন্ট (Email marketing content)
- এক্সপার্ট রাইটিং (Expert writing)
- নিউজ রাইটিং ( News writing)
- ক্রিয়েটিভ রাইটিং (Creative writing)
- ই-বুক রাইটিং (Ebook writing)
- টেকনিক্যাল রাইটিং (Technical writing)
- রিজিউমি রাইটিং (Resume writing)
- পডকাস্ট রাইটিং (Podcast writing)
- ট্রান্সলেশন (Translation)
- ট্রান্সক্রিপশন (Transcription)
- রিসার্চ রাইটিং (Research writing)
ককন্টেন্ট রাইটিং এর জন্য ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার/টুলস:
- গুগল ডকস ( Google docs)
- গ্রামারলি (Grammarly)
- হেমিংওয়ে অ্যাপ (Hemingway App)
- প্রো-রাইটিং এড (Pro writing app)
- ওয়ার্ড টিউন (Word tune)
- রাইটার (Writer)
- কপিমেটিক (Copymatic)
৭) কপিরাইটিং | Copy writing
কপিরাইটিং মূলত ডিজিটাল মার্কেটিং এর অন্তর্ভুক্ত। কপি রাইটিং বলতে এমন লেখাকে বুঝায় যা কোনো পণ্যের বিজ্ঞাপন বা মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। একজন ক্রেতাকে পণ্য কেনায় আগ্রহী করে তোলাই মূলত কপিরাইটিং এর উদ্দেশ্য।
একজন কপিরাইটার যেসব কাজ করে থাকেন:
- বিজ্ঞাপন লেখা
- স্লোগান ও ট্যাগলাইন লেখা
- ইমেইল ক্যাম্পেইনের জন্য ইমেইল লেখা
- বিজ্ঞাপনের স্ক্রিপ্ট লেখা
- প্রেস বিজ্ঞপ্তি লেখা
- ক্যাটালগ লেখা
- বিলবোর্ড লেখা
- ব্রশিউর লেখা
কপিরাইটার হতে হলে যেসব সম্পর্কে জ্ঞান থাকা জরুরি-
- যে ভাষায় লিখবেন সেই ভাষা সম্পর্কে খুব ভালো জ্ঞান থাকা জরুরি।
- গবেষনা করার দক্ষতা থাকতে হবে
- লেখার মধ্যে সহজবোধ্যতা থাকতে হবে
- লেখার ভেতর বৈচিত্র্যতা আনতে হবে
- মার্কেট সম্পর্কে যথাযথ জ্ঞান
- লেখার এবং পড়ার দক্ষতা বাড়াতে হবে
- সৃজনশীল মনোভাব
৮) সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন | Search engine optimization
ওয়েবসাইটকে সার্চ রেজাল্টের শুরুর দিকে নিয়ে আসার জন্য মূলত অপটিমাইজেশন করা হয়ে থাকে। যখন আমরা কোনো কিছু খুঁজে পাওয়ার জন্য সার্চ করে থাকি, তখন অনেকগুলো ওয়েবসাইটের মধ্যে কিছু ওয়েবসাইট সবার শুরুতে আসে, প্রথম পেজে আসে।
ওয়েবসাইটকে সার্চে ইঞ্জিনের প্রথম পেজে আনার জন্য যে অপটিমাইজেশন করা হয়ে থাকে, তাকেই মূলত সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বলে।
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করলে ওয়েবসাইটের ভিউ তথা ট্রাফিক বাড়বে, এবং সেইসাথে পণ্যের কেনাবেচা কিংবা লিড জেনারেশন বাড়বে। তাই, ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ এর মাঝে ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোতে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজার খুবই চাহিদা সম্পন্ন।
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন দুই ধরনের:
- অন পেজ অপটিমাইজেশন (On page SEO)
- অফ পেজ অপটিমাইজেশন (Off page SEO)
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন জানলে বেশ কম সময়ে বড় বড় প্রজেক্ট কমপ্লিট করা যায়। তাই, সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং কাজ এর মাঝে ফ্রিল্যান্সারদের কাছেও এসইও খুবই পছন্দের অপশন।
৯) ডাটা এন্ট্রি | Data entry
ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা তথ্যকে সাজিয়ে উপস্থাপন করাকে মূলত ডাটা এন্ট্রি করা বলে। বিভিন্ন ফিজিকাল ডাটাকে কম্পিউটারে টাইপ করে ডিজিটাল ডাটায় পরিনত করাকেও ডাটা এন্ট্রি বলে। ফ্রিল্যান্সিং কাজ সমূহ এর মাঝে সবচেয়ে সহজ কাজ বলা যায় ডাটা এন্ট্রি।
ডাটা এন্ট্রিতে অন্তর্ভুক্ত জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ;
- টাইপিং
- বিভিন্ন ধরনের ফর্ম পুরন
- ডাটা এডিটিং
- ছবি থেকে লেখার রূপারন্তর
- ক্যাপচা পূরণ
- কপি পেস্ট করা
- ডাটা ইনপুট দেয়া
- অডিও থেকে লেখায় রূপান্তর
যারা ডাটা এন্ট্রির কাজ করে থাকেন তাদেরকে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর বলা হয়ে থাকে। ডাটা এন্ট্রি অপারেটর হতে হলে আপনাকে যা যা জানতে হবে;
- ভাষা দক্ষতা
- ভালো টাইপিং স্পিড
- ডাটাবেজ এবং সফটওয়্যার সম্পর্কে ধারনা
- তথ্য সংগ্রহের দক্ষতা
- বানান সম্পর্কে ভালো জ্ঞান
- মাইক্রোসফট অফিস (MS word, MS PowerPoint, MS excel etc)
১০) ডিজিটাল মার্কেটিং | Digital marketing
ডিজিটাল মার্কেটিং বলতে মূলত পন্য বা সেবার অনলাইন প্রচারকে বুঝায়। বেশ কয়েকটি উপায়ও ডিজিটাল মার্কেটিং করা যেতে পারে, হতে পারে এটি সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং এর মাধ্যমে, হতে পারে এটি সোশাল মিডিয়া মার্কেটিং এর মাধ্যমে।
যাদের হাতে ইতিমধ্যে ট্রাফিক আছে তারা জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ থেকে ডিজিটাল মার্কেটিং বেছে নিতে পারেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর ধাপসমূহ:
ডিজিটাল মার্কেটিং এর বেশ কয়েকটি ধাপ রয়েছে। বিভিন্ন ভাবে মার্কেটিং করা যায় যেমন;
- এসইও বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO- Search engine optimization)
- এসইএম বা সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং (SME – Social media marketing)
- কন্টেন্ট মার্কেটিং (Content marketing)
- সোশ্যাল মিডিয়া (Social media marketing)
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate marketing)
- ইমেইল মার্কেটিং (Email marketing)
- সিপিএ মার্কেটিং (CPA marketing)
- ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং (Influencer marketing)
- মোবাইল মার্কেটিং (SMS Marketing, MMS Marketing)
১১) ট্রান্সক্রাইবিং | Transcribing
ট্রান্সক্রাইবিং হলো অডিও বা ভিডিও থেকে কথাগুলোকে লেখায় (সফট কপি) পরিনত করা। অডিও বা ভিডিও থেকে কথাগুলো শুনে তা লেখায় পরিনত করাকেই মুলত ট্রান্সক্রাইবিং বলে।
ট্রান্সক্রাইবিং এর কাজ দিন দিন বেড়েই চলছে। ফ্রিল্যান্সিং সাইট গুলোতে আপনি ট্রান্সক্রাইবিং এর অনেক কাজ পাবেন।
ট্রান্সক্রাবিং করতে হলে যা যা যোগ্যতা প্রয়োজন-
- ভাষা দক্ষতা
- গভীর মনোযোগ
- দ্রুত টাইপিং স্কিল
- নির্ভুল বানান
- ব্যাকরণ সম্পর্কে সঠিক ধারণা
১২) ট্রান্সলেটিং | Translating
ট্রান্সলেশন (Translation) অর্থ অনুবাদ করা। কোনো বই, উপন্যাস,গান, কবিতা বা যে কোনো ধরনের কোনো লেখাকে এক ভাষা থেকে আরেক ভাষায় রূপান্তর করাকে ট্রান্সলেশন বলে। ট্রান্সলেশনের এই কাজটা বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটগুলোতে খুবই চাহিদাপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
তাই, আপনার যদি কোন গুরুত্বপূর্ণ ভাষা জানা থাকে তাহলে সহজ ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ থেকে এই সহজ কাজটি বেছে নিতে পারেন।
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটে যেসব ভাষা ট্রান্সলেশনের চাহিদা বেশি:
- চাইনিজ (Chinese)
- স্প্যানিশ (Spanish)
- এরাবিক (Arabic)
- ফ্রেঞ্চ ( French)
- জাপানিজ (Japanese)
- রাশিয়ান ( Russian)
- জার্মান ( German)
একজন ট্রান্সলেটার যেসব কাজ করে থাকেন:
- অফিসিয়াল লেটার অনুবাদ
- প্রেজেন্টেশন অনুবাদ
- থিসিস পেপার অনুবাদ
- ই-মেইল লেটার অনুবাদ
- নিউজলেটার অনুবাদ
- চুক্তিনামা অনুবাদ
- মুভির সাবটাইটেল অনুবাদ
- অডিও অনুবাদ
ট্রান্সলেশন করার জন্য যা যা জানা প্রয়োজন:
- ফরেইন ভাষা সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞান
- ভাষার ব্যকরণ, প্রবাদ, বানান
- টাইপিং দক্ষতা
১৩) ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট | Virtual assistant
ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহতে নতুন সংযোজন ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট। একজন ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট এর কাজ হলো ক্লায়েন্টের হয়ে ক্লায়েন্টের দেওয়া কাজ করে দেওয়া। অর্থাৎ, আপনি ঘরে বসে কোনো অফিস বা কোম্পানির বসের এসিস্ট্যান্ট হয়ে কাজ করে দিবেন।
নির্দিষ্ট কোনো কাজ ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্টের কাজের মধ্যে পড়ে না। তবে, মাইক্রোসফট অফিসের বিভিন্ন কাজ থেকে শুরু করে টুকটাক গ্রাফিক্স বা ওয়েবের কাজ ও এই কাজের অন্তর্ভুক্ত হতে পারে।
ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট হিসেবে আপনি যেসব কাজ করতে হতে পারে:
- মেইল, নিউজলেটার ম্যানেজ করা
- সোশাল মিডিয়ার বিভিন্ন ব্যনার পোস্টার বানানো এবং তা পোস্ট করা
- এক্সেলের কাজ
- ডাটা এন্ট্রি
- কপিরাইটিং
- গুরুত্বপূর্ণ সব ফাইল ম্যানেজ করা
- এস ই ও (SEO) করা
- মার্কেটিং, ইত্যাদি।
১৪) ডাটা এনালাইসিস | Data Analysis
ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ এর মাঝে আরেকটি জনপ্রিয় কাজ ডাটা এনালাইসিস। বর্তমান যুগে ডাটা এনালাইসিস বা বিশ্লেষণ করা একটি অতি প্রয়োজনীয় অংশ হয়ে উঠেছে। অনলাইন বা অফলাইন ব্যবসার ক্ষেত্রে ডাটা এনালাইসিসের বহুল ব্যবহার ও প্রয়োজনীয়তাও রয়েছে।
ডাটা এনালাইসিসের মাধ্যমে পণ্যের কেনাবেচা, ক্রেতার আগ্রহ, পছন্দ- অপছন্দ ইত্যাদি বোঝা যায়। এছাড়া, বিভিন্ন রিসার্চ এর কাজেও ডাটা এনালাইসিস করতে হয়। তাই, ফ্রিল্যান্সিং জব হিসেবে ডাটা এনালাইসিস বেশ চাহিদা সম্পন্ন।
একজন ডাটা বিশ্লেষক সাধারণত যেসব কাজ করেন:
- ডাটা সংগ্রহ
- ডাটা ক্লিন করা
- ডাটা মডেল তৈরি করা
- ডাটা উপস্থাপন
ডাটা অ্যানালিস্টের যেসব দক্ষতা এবং জ্ঞান থাকা জরুরি:
- তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণের দক্ষতা
- প্রয়োজনীয় বিভিন্ন সফটওয়্যারে দক্ষতা
- ডাটা সাজানো, ডাটা মডেলিং এর জ্ঞান
- তথ্য সংগ্রহের উৎস সম্পর্কে ধারণা
- গ্রাফসহ অন্যান্য ডাটা ভিজুয়ালাইজেশন টেকনিক
ডাটা এনালাইসিসের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত কিছু টুলস:
- Excel
- Google Sheets
- SQL
- TableauR or Python
- Power BI
- JupyteNotebooks
- STATA
- Statistical Package for the Social Sciences (SPSS)
- MATLAB
১৫) ইউ আই/ইউএক্স ডিজাইনার | UI/UX Designer
সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং কাজ এর তালিকার সবশেষে রয়েছে UI/UX design. UI এর পূর্ণরূপ User Interface এবং UX এর পূর্ণরূপ User experience. বিভিন্ন ওয়েবসাইট, অ্যাপ্লিকেশনে যে ইউজার ইন্টারফেসটি আমরা ব্যবহার করছি তাই হলো UI ডিজাইন।
যেকোনো ওয়েবসাইট, অ্যাপ্লিকেশন বা প্রোডাক্ট ডিজাইনের ক্ষেত্রে UX কে গুরুত্ব দেয়া হয়। একজন ইউজার এই সেবাটি গ্রহন করার সময় কেমন অভিজ্ঞতা পাবে এই ডিজাইনটিই মূলত UX ডিজাইন।
ইউ আই/ইউ এক্স ডিজাইনার হতে হলে:
- কাস্টমারের সুবিধা অসুবিধা এনালাইসিস করার ক্ষমতা থাকতে হবে।
- রিসার্চ করার মন-মানসিকতা থাকতে হবে
- ডিজাইন জানতে হবে
ইউ আই/ইউ এক্স ডিজাইনে ব্যবহার সফটওয়্যার:
- স্কেচ (Sketch)
- ইনভিশন স্টুডিও (InVision Studio)
- ক্রাফট (Craft)
- এডোবি এক্স ডি (Adobe XD)
- ফিগমা ( Figma)
- অরিগামি স্টুডিও (Origami studio)
- ফ্লোম্যাপ (Flowmapp)
ফ্রিল্যান্সিং কাজের জন্য কিসের প্রয়োজন
১. দক্ষতা: ফ্রিল্যান্সিং এর জনপ্রিয় কাজ সমূহের মাঝে আপনাকে অন্তত একটি কাজে অবশ্যই পারদর্শী হতে হবে।
২. ডেস্কটপ অথবা ল্যাপটপ: ফ্রিল্যান্সিং এর বেশিরভাগ কাজগুলো করতে ডেস্কটপ অথবা ল্যাপটপের প্রয়োজন হয়।
৩. ইন্টারনেট কানেকশন: অনলাইনে কাজ করতে হলে অবশ্যই ইন্টারনেট কানেকশনের প্রয়োজন হবে।
৪. একটি স্মার্টফোন: ক্লাইন্টের সাথে সবসময় যোগাযোগ, অনলাইনে একটিভ থাকার জন্য একটি স্মার্টফোন জরুরি।
৫. ইংরেজিতে নূন্যতম দক্ষতা: বিদেশি ক্লায়েন্টের সাথে কথা বলার জন্য ইংরেজি জানা আবশ্যক।
এছাড়াও ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারে উন্নতি করতে চাইলে যেসব বিষয়ে নজর দিতে হবে:
- ভালো রেজ্যুমে তৈরী
- ভালো কাজের সেট-আপ
- বিডিং করা জানতে হবে
- ডেডলাইনের মধ্যে কাজ জমা দিন
- নিজের দক্ষতা সময়ের সাথে বাড়াতে হবে
সেরা ফ্রিল্যান্সিং সাইট এর তালিকা | Freelancing Websites List
ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য অনেকগুলো মার্কেটপ্লেস রয়েছে যার মাধ্যমে আপনি ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ পেতে পারেন।
জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং সাইট তালিকা:
- ফাইবার (Fiverr)
- ফ্রিল্যান্সার ডট কম (Freelancer.com)
- আপওয়ার্ক (Upwork)
- ফ্লেক্সজবস (Flexjobs)
- গুরু (Guru)
- নাইনটিনাইন ডিজাইনস (99designs)
- পিপল পার আওয়ার (People Per Hour)
- ক্রিয়েটিভ মার্কেট (Creative Market)
বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সিং সাইট সমূহ | Bangladeshi Freelancing Sites
- বিল্যান্সার ডট কম
- ডিল্যান্সার ডট কম
- সচ্ছল ডট কম
- কাজখুঁজি ডট কম
Bangladeshi Freelancing Sites এ কাজ করতে আপনার ইংরেজি জ্ঞান না থাকলেও চলবে। এছাড়া, বিকাশ, নগদ, রকেট এবং ব্যাংকের মাধ্যমে আপনার অর্থ উত্তোলন করতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ নিয়ে শেষ কথা
বর্তমান যুগের প্রায় সবই অনলাইনের দিকে ধাবিত হচ্ছে। অনলাইনে সেবা আদান প্রদানের চাহিদা বাড়ার পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটের কল্যাণে সহজতর হয়ে উঠছে। তাই, আপনিও চাইলে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ থেকে নিজের প্যাশনকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ বেছে নিন।
দক্ষতা কম থাকলে অনলাইন কোর্স করার মাধ্যমে স্কিল ডেভেলপমেন্ট করে আপনার ক্যারিয়ার শুরু করতে পারেন।
তাহলে বলুন, ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ নিয়ে আলোচনায় উল্লেখ করা সবচেয়ে চাহিদা সম্পন্ন ও জনপ্রিয় ১৫টি ফ্রিল্যান্সিং কাজ থেকে আপনি কোনটি বেছে নিচ্ছেন।
This information was very much helpful for me.
Thank you for spreading love. It will encourage us. Stay with TecLans
কাজ খুঁজি ডট কম
I want do this work but what can i do